বাসে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল যবিপ্রবি

রানা মাহমুদঃ-লোকাল বাসে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবির) একজন ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় আবারও উত্তাল হয়ে উঠেছে যবিপ্রবি ক্যাম্পাস। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে না পারাসহ আরও ছয় দফা দাবিতে টায়ার জ¦ালিয়ে সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে যশোর-চৌগাছা সড়ক অবরোধ করলে যানবহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় জনসাধারণের চলাচল চরমভাবে ব্যহত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ প্রশাসন একাধিকবার কথা বলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে বিকেলে সাড়ে ৫টায় যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ঢাকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে এসে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে সমাধানে আসে শিক্ষার্থীরা।

দাবিসমূহ হলো, শ্লীলতাহানির ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীর বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, চৌগাছা বাস মালিক সমিতিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা, যশোর-চৌগাছা রুটের সকল বাসের চালক এবং হেলপারকে যাত্রী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নির্দেশনা প্রদান (বিশেষত নারী ও শিশু), রুটের সকল বাসের মধ্যে সামনের সারিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আসন বরাদ্দ রাখা। ভবিষ্যতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে যশোর-চৌগাছা বাস মালিক সমিতিকে এর পূর্ণ দায়ভার গ্রহণ করতে হবে বলে হুশিয়ারি প্রদান করা হয়। অন্যথায় যবিপ্রবি ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের বিবেচনাযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতি ঘণ্টায় শহর থেকে (চাঁচড়া, মণিহার) শাটল বাস সার্ভিস চালু করতে হবে এবং অতিদ্রুত এ দাবি কার্যকর করতে হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শাটল বাস দেওয়ার সক্ষমতা এ মুহূর্তে আমাদের নেই। তবে অভিযুক্ত যেখানেই থাকুক তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দাবিগুলোর জন্য যশোর ও চৌগাছা বাস মালিক সমিতির সাথে আমরা কথা বলে ব্যবস্থা করবো।’
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, ‘অভিযুক্তকে আটকের জন্য আমারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছি’।

প্রসঙ্গত গত ১২ মে মাসুদ নামের এক যুবক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে লোকাল বাসে শ্লীলতাহানি ঘটান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *