ভাইস চেয়ারম্যান পদে সুলতান মাহমুদ বিপুল পেয়েছেন টিউবওয়েল, শেখ জাহিদুর রহমান লাবু বৈদ্যুতিক বাল্ব, শাহাজান কবির শিপলু চশমা, কামাল খান পর্বত তালা ও মনিরুজ্জামান উড়োজাহাজ প্রতীক পেয়েছেন।
এ ছাড়াও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জ্যোৎস্না আরা মিলি কলস, বাশিনুর নাহার ঝুমুর ফুটবল এবং শিল্পী খাতুন হাঁস প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।
অভয়নগর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী রবিন অধিকারী আনারস ও সরদার অলিয়ার রহমান মোটরসাইকেল প্রতীক পেয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আখতারুজ্জামান তারু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাফিয়া খানম হাঁস, লায়লা খাতুন কলস ও মিনারা পারভীন ফুটবল প্রতীক পেয়েছেন।
বাঘারপাড়া উপজেলার নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে হাসান আলী আনারস, এফএম আশরাফুল কবির বিপুল ফারাজী মোটরসাইকেল, আব্দুর রউফ মোল্লা দোয়াত কলম, রাজীব কুমার রায় ঘোড়া, মাসুম রেজা পেয়েছেন হেলিকপ্টার ও সেলিম রেজা কাপ পিরিচ প্রতীক পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে আসাদুজ্জামান টিউবওয়েল, গোলাম ছরোয়ার তালা, নাজমুল হুসাইন চশমা, শাহজালাল বই, এনায়েত হোসেন লিটন মাইক, তাওহিদুর রহমান উড়োজাহাজ ও জয়নাল আবেদীন টিয়া পাখি প্রতীক পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শামসুন্নাহার ফুটবল, বিথীকা বিশ্বাস পদ্মফুল, রেক্সনা খাতুন কলস ও দিলারা জামান প্রজাপতি প্রতীক পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, সারাদেশের উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে আগামী ২৯ মে যশোর সদর, অভয়নগর ও বাঘারপাড়া উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতীক বরাদ্দের পর যশোরে যে উৎসবমূখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে তা ভোটগ্রহণের দিন এবং তার পরেও থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যশোরের রাজনীতি সচেতন মানুষ
যশোরের তিন উপজেলার নির্বাচনে মার্কা ঘোষণার সাথে সাথেই মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে শহরসহ প্রত্যন্ত এলাকা। প্রায় সব প্রার্থীই প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই একাধিক মাইক নামিয়েছেন। শহর থেকে ইউনিয়নের রাস্তায় রাস্তায় এসব মাইকে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে মার্কা সম্বলিত পোস্টার ও লিফলেটেরও দেখা মিলেছে। মার্কা পাওয়ার সাথে সাথে প্রেসে ব্যস্ততার সাথে পোস্টার ও লিফলেট ছাপার কাজ চলছে। ছাপাখানাগুলোতে মিলেছে চরম ব্যস্ততা। সবমিলিয়ে সর্বত্র বিরাজ করছে ভোটের আমেজ। ভোটের উৎসব যাকে বলে তার দেখা মিলেছে।
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সোমবার সকালে যশোর জেলা নির্বাচন অফিসে যশোর সদর, অভয়নগর ও বাঘারপাড়া উপজেলার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যশোর জেলা অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ প্রার্থীদের মধ্যে এই প্রতীক বরাদ্দ করেন।
যশোর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী পেয়েছেন আনারস, মোহিত কুমার নাথ শালিক পাখি, আনোয়ার হোসেন বিপুল দোয়াত কলম, শফিকুল ইসলাম জুয়েল কাপ পিরিচ, ফাতেমা আনোয়ার ঘোড়া এবং তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু মোটরসাইকেল প্রতীক পেয়েছেন।
এদিকে, এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আরবপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিলো। তবে তিনি উচ্চতর আদালতে গিয়ে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন বলে গ্রামের কাগজকে জানিয়েছেন। তিনি এখনো প্রতীক বরাদ্দ পাননি। তবে তিনি হেলিকপ্টার প্রতীক চেয়ে আবেদন করেছেন এবং সেটি প্রক্রিয়াধীন আছে বলে তিনি জানান।
অপরদিকে, যশোর সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত নূরজাহান ইসলাম নীরার ছেলে আরিফুল ইসলাম হীরার মনোনয়নও বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। তিনিও উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। তবে তার মনোনয়নের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি।