আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। সোমবার ঢাকা ও ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সূত্র গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ডোনাল্ড লু ১৪ মে দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন বলে জানিয়েছে সূত্রটি। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উচ্চপর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার প্রথম সফর এটি।
সফরে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথেও কথা বলবেন। বিশ্লেষকদের ধারণা, সেখানে বাংলাদেশের নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা হতে পারে।
নানা কারণে ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে অত্যন্ত আলোচিত একটি নাম। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে তার তৎপরতা বাংলাদেশে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছিল। ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেওয়ার পর তিনি একাধিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন এবং বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তার সরাসরি হস্তক্ষেপ এবং বেশ কিছু কথাবার্তা রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।
এই সফরকে ঘিরে আবারও সরগরম রাজনৈতিক অঙ্গন। আওয়ামী লীগ বলছে, দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে এ সফর গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে ডোনাল্ড লু’র এই সফর নিয়ে কোনো আগ্রহই নেই, এমন দাবি বিএনপির।
তবে তার এবারের সফর যতটা না রাজনৈতিক তার চেয়েও বেশি কূটনৈতিক বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। আলোচনা হবে জলবায়ু সংকট ও দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথেও বৈঠক করবেন তিনি।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি আর পেছনে ফিরে যাবে না। নিষেধাজ্ঞার পুরোনো শঙ্কা উড়িয়ে দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, আমরা কোনো উত্তাপ ছড়াতে যাইনি। যেহেতু সামনে আর কিছু নেই, তাই ডোনাল্ড লু এসে সরকার হটানোর অভিসন্ধি আছে কি না তা বিএনপি ভালো বলতে পারবে।
ডোনাল্ড লুর এই সফর একেবারেই আমলে নিচ্ছে না বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কে আসলো আর কে গেল তা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। তিনি বলছেন তার দলের প্রধান শক্তি হলো জনগণ।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বললেন, ডোনাল্ড লুর এই সফরের মধ্য দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চিঠি লিখে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। এবারের এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।