এ আর রহমানের স্টুডিওতে গিয়ে দেশের কাছে যা চাইলেন আসিফ

অস্কারজয়ী ভারতীয় সংগীতশিল্পী এ আর রহমানের স্টুডিওতে নতুন গান রেকর্ড করলেন বাংলা গানের যুবরাজ’খ্যাত শিল্পী আসিফ আকবর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্পী নিজেই। সঙ্গে দেশের অডিও ইন্ডাস্ট্রি ও স্টুডিওগুলো নিয়ে আক্ষেপ করেছেন জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পী।

নতুন গান রেকর্ড প্রসঙ্গে আসিফ বলেন, ‘মুম্বাই এসেছি কিছু রেকর্ডিংয়ের কাজে। গতকাল দুটো গানের ভয়েস দিলাম শ্রদ্ধেয় এ আর রহমান স্যারের কেএম স্টুডিওতে। কমপক্ষে পনেরো হাজার স্কয়ার ফিটের সুবিশাল স্টুডিও। ভেতরে ঢুকেই মনটা ভালো হয়ে গেল, কি চমৎকার পরিবেশ! যারা ওনার কাছে মিউজিক ক্লাস করেন তাদের জন্য ছাদে শেড দেওয়া সুন্দর খোলামেলা স্কুল। ওনার ব্যক্তিগত স্টুডিওতে গাওয়ার অনুমতি পেয়েছি, এটা পরম সৌভাগ্য আমার জন্য। ভয়েস রুমের টেম্পারেচার কেমন হওয়া উচিত সেটার অভিজ্ঞতাও পেলাম।’

গানের সোনালি অতীতের কথা স্মরণ করে এই শিল্পী বলেন, ‘বাংলাদেশে পেশাদার রেকর্ডিং স্টুডিওগুলো সব বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে তৈরি হয়েছে সুউচ্চ বিল্ডিং। বাসাবাড়িতে কিংবা ছোট খুপরির মতো সব স্টুডিও বানিয়ে মাটি কামড়ে মিউজিক করছে মিউজিশিয়ানরা। যেখানে ইন্ডাস্ট্রি আরও বিশাল হওয়ার কথা সেখানে সংকুচিত হয়ে এসেছে আমাদের পৃথিবী।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে (ভারতে) শিল্পী মিউজিশিয়ানদের পেশাগত নিরাপত্তার চমৎকার সুরক্ষা ব্যূহ তৈরি করে রাখা হয়েছে। আমাদের দেশ এসবের ধারেকাছেও নেই। রাষ্ট্রীয় কিছু উদ্যোগ থাকলেও চামচিকা আর উলু খেয়ে ফেলে সব।’

ক্ষোভ নিয়ে আসিফ আকবর বলেন, ‘সমিতি আর নির্বাচনী কাবাডি খেলা নিয়ে ব্যস্ত সবাই। আস্তে আস্তে ক্ষয়ে গেছে সব প্রতিষ্ঠান। আমারও খুব একটা কিছু করার সক্ষমতা নেই। বিভক্তি বিভাজনের করাল গ্রাসে কোমায় চলে গেছে ইন্ডাস্ট্রি। সংগীতকে ভালোবেসে ফেলেছি, তাই টিকে থাকার সংগ্রামে আছি। বয়সও বেড়েছে, হইচই করতে আর ভালোও লাগেনি। শৌখিন এবং মৌসুমি প্রযোজকদের সঙ্গে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি, মান নিয়ন্ত্রণ করতেই হচ্ছে। রাষ্ট্র, প্লিজ কিছু একটা করুন। মিউজিক এবং মিউজিশিয়ানদের বাঁচান।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *